মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি - পর্ব ০২: Gk & English
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি যে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইংরেজির উপর ১৫ নম্বর ডিপেন্ড করে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনেক ক্ষেত্রে ইংরেজি বেশি পার্থক্য গড়ে দেয়।তাই প্রস্তুতি সুদৃঢ় করার জন্য অন্যান্য বিষয়ের সাথে অবশ্যই নিয়মিত ইংরেজি পড়তে হবে।
আবার, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য সাধারণজ্ঞান বিষয়ের উপর যথাযথ দিক নির্দেশনার অভাবে অনেকের মাঝে এ বিষয়ের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা আর এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা কাজ করে। মনে রাখতে হবে, মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য একটি নম্বরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাধারণজ্ঞানে ১০ নম্বর বলে এ বিষয়টাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া অথবা অল্প প্রস্তুতি নেয়া আত্মঘাতি হতে পারে। তবে HSC পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই English ও GK এর প্রিপারেশন পুরোদমে শুরু করা উচিত। HSC পরীক্ষার প্রিপারেশন ভালোভাবে সম্পন্ন হলে খুব গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো এখনই দেখে নিতে পার।
গত বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক উভয় অংশেরই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষার কিছুদিন আাগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ জ্ঞানের সিলেবাস হিসেবে শুধু "বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ" উল্লেখ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবুও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর "বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ" সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
তবে গত বছরের আগের বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায়, বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়(যেমনঃ মুক্তিযুদ্ধ,সংস্কৃতি,শিল্প, সাহিত্য,সাম্প্রতিক) থেকে বেশি সংখ্যক প্রশ্ন এসেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি বেশি জোর দিয়ে প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
আশা করা যায় এ বছরের সিলেবাসও গত বছরের ন্যায় হবে। তাই প্রথমে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ ভালোভাবে শেষ করতে হবে। অতঃপর অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও(যেমনঃ সংস্হা,রাজধানী,সম্মেলন,প্রধানমন্ত্রী,নোবেল পুরস্কার,উপাধি,দিবস,ভূগোল,খেলাধুলা) কিছুটা পড়ে রাখা উচিত।
English এবং সাধারণজ্ঞানে ভালো করার জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হল-
১। বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় থেকে আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নেয়া।
২। BCS প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত সব বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়ে নেয়া।
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসা বিগত ১০ বছরের প্রশ্নগুলোও ভালোভাবে দেখতে হবে। (এগুলো প্রচলিত বইয়ে দেয়া থাকে)।
৪। প্রচলিত বই থেকে বিগত কয়েক বছরের সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন দেখে নেয়া যায়।
৫। English এর জন্য কোচিং প্রকাশিত সহায়ক বই পড়তে পার। পাশাপাশি Apex বা English for Competitive exams বা Master বা প্রচলিত অন্য কোন ভাল বই এর যে কোন একটি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো অনুশীলন করতে পার।
৬। English এর কোন টপিকের কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে YouTube এর সাহায্য নিতে পার।
৫। English এর ক্ষেত্রে Translation & proverb, Synonym-Antonym, Appropriate preposition, Correction, Parts of Speech, Right form of verb, voice এবং spelling সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। English বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে। তবেই আয়ত্ত্বে আসবে।
৬। Translation & proverb, Synonym-Antonym, Appropriate preposition জোর দিয়ে মুখস্থ করতে হবে। এগুলো ভাগ করে অল্প অল্প করে মুখস্থ করতে হবে। এগুলোর কোন সীমা নেই। তাই মেডিকেল,বিসিএস, ভার্সিটি, নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন আর নির্দিষ্ট বইয়ের শুধু ইম্পর্ট্যান্টগুলো আয়ত্ত্ব করলেই যথেষ্ট হবে।
৫। সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রচলিত নির্দিষ্ট ডাইজেস্ট বা গাইডের পাশাপাশি পরীক্ষার আগের ২-৩ মাসের সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। (রিসেন্ট ভিউ,কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়াল্ড ইত্যাদির যে কোন একটি)।
৬। তুলনামূলক বেশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকের উপর বেশি জোর দিতে হবে। বিগত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যেসকল টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন কমন পড়েছে সেগুলোর প্রতি জোর দিতে হবে।
৭। পড়া জমিয়ে না রেখে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিদিন অল্প অল্প পড়তে হবে। নতুবা একসময় এগুলো প্রেশার হয়ে যাবে।
স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টা জড়িয়ে ধৈর্য্যের সাথে লেগে থাক। ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
- ইসতিয়াক উদ্দিন মোহাম্মদ তাসকিন
এমবিবিএস প্রথম বর্ষ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
আবার, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য সাধারণজ্ঞান বিষয়ের উপর যথাযথ দিক নির্দেশনার অভাবে অনেকের মাঝে এ বিষয়ের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা আর এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা কাজ করে। মনে রাখতে হবে, মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য একটি নম্বরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাধারণজ্ঞানে ১০ নম্বর বলে এ বিষয়টাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া অথবা অল্প প্রস্তুতি নেয়া আত্মঘাতি হতে পারে। তবে HSC পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই English ও GK এর প্রিপারেশন পুরোদমে শুরু করা উচিত। HSC পরীক্ষার প্রিপারেশন ভালোভাবে সম্পন্ন হলে খুব গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো এখনই দেখে নিতে পার।
গত বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক উভয় অংশেরই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষার কিছুদিন আাগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ জ্ঞানের সিলেবাস হিসেবে শুধু "বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ" উল্লেখ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবুও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর "বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ" সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
তবে গত বছরের আগের বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায়, বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়(যেমনঃ মুক্তিযুদ্ধ,সংস্কৃতি,শিল্প, সাহিত্য,সাম্প্রতিক) থেকে বেশি সংখ্যক প্রশ্ন এসেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি বেশি জোর দিয়ে প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
আশা করা যায় এ বছরের সিলেবাসও গত বছরের ন্যায় হবে। তাই প্রথমে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ ভালোভাবে শেষ করতে হবে। অতঃপর অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও(যেমনঃ সংস্হা,রাজধানী,সম্মেলন,প্রধানমন্ত্রী,নোবেল পুরস্কার,উপাধি,দিবস,ভূগোল,খেলাধুলা) কিছুটা পড়ে রাখা উচিত।
English এবং সাধারণজ্ঞানে ভালো করার জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হল-
১। বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় থেকে আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নেয়া।
২। BCS প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত সব বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়ে নেয়া।
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসা বিগত ১০ বছরের প্রশ্নগুলোও ভালোভাবে দেখতে হবে। (এগুলো প্রচলিত বইয়ে দেয়া থাকে)।
৪। প্রচলিত বই থেকে বিগত কয়েক বছরের সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন দেখে নেয়া যায়।
৫। English এর জন্য কোচিং প্রকাশিত সহায়ক বই পড়তে পার। পাশাপাশি Apex বা English for Competitive exams বা Master বা প্রচলিত অন্য কোন ভাল বই এর যে কোন একটি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো অনুশীলন করতে পার।
৬। English এর কোন টপিকের কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে YouTube এর সাহায্য নিতে পার।
৫। English এর ক্ষেত্রে Translation & proverb, Synonym-Antonym, Appropriate preposition, Correction, Parts of Speech, Right form of verb, voice এবং spelling সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। English বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে। তবেই আয়ত্ত্বে আসবে।
৬। Translation & proverb, Synonym-Antonym, Appropriate preposition জোর দিয়ে মুখস্থ করতে হবে। এগুলো ভাগ করে অল্প অল্প করে মুখস্থ করতে হবে। এগুলোর কোন সীমা নেই। তাই মেডিকেল,বিসিএস, ভার্সিটি, নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন আর নির্দিষ্ট বইয়ের শুধু ইম্পর্ট্যান্টগুলো আয়ত্ত্ব করলেই যথেষ্ট হবে।
৫। সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রচলিত নির্দিষ্ট ডাইজেস্ট বা গাইডের পাশাপাশি পরীক্ষার আগের ২-৩ মাসের সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। (রিসেন্ট ভিউ,কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়াল্ড ইত্যাদির যে কোন একটি)।
৬। তুলনামূলক বেশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকের উপর বেশি জোর দিতে হবে। বিগত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যেসকল টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন কমন পড়েছে সেগুলোর প্রতি জোর দিতে হবে।
৭। পড়া জমিয়ে না রেখে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিদিন অল্প অল্প পড়তে হবে। নতুবা একসময় এগুলো প্রেশার হয়ে যাবে।
স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টা জড়িয়ে ধৈর্য্যের সাথে লেগে থাক। ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
- ইসতিয়াক উদ্দিন মোহাম্মদ তাসকিন
এমবিবিএস প্রথম বর্ষ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি - পর্ব ০২: Gk & English
Reviewed by Catalytic School
on
August 18, 2020
Rating:
No comments: